নরসিংদী প্রতিনিধি : শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্য বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান আটক করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলশ। এসময় কাভার্ডভ্যানের চালক জসিম (৪৫) ও ভাড়ার শর্তে কাভার্ডভ্যান মালিক মুকুল মিয়া (৫৭) নামে দুইজনকে আটক করা হয়। গত বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানসহ ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক চালক জসিম উদ্দিন বরগুনা সদর উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে এবং কাভার্ডভ্যান মালিক মুকুল মিয়া বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাবালখালী গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে। পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকার শহীদ মিনার নামক স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় ঢাকাগামী মাঝারি আকারের একটি কাভার্ডভ্যানের গতিরোধ করলে এতে থাকা চালক ও অপর ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এসময় কাভার্ডভ্যানটির পেছনের ঢালা খুলে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী ও বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। পরে কাভার্ডভ্যানসহ চালক ও অপর ব্যক্তিকে আটক করে নরসিংদী ডিবি পুলিশের কার্যালয়ের নিয়ে আসা হয়।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ওই সব প্রসাধনী ও পণ্য সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলাকা থেকে ঢাকার চকবাজারে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। পারভেজ নামে চকবাজারের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে ভাড়ার চুক্তি হয়। সে অনুসারে এসব পণ্য শান্তিগঞ্জ থেকে কাভার্ডভ্যানে বোঝাই করে ঢাকার চকবাজার নিয়ে যাচ্ছিল। তবে এসব প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কোনো চালান কপি বা রশিদ দেখাতে পারেনি আটক ব্যক্তিরা। আটক ভারতীয় এসব প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কাভার্ডভ্যানসহ আনুমানিক মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। তবে এ চালানের সাথে জড়িত মূল হুতাদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।