আরও পড়ুন

মনোহরদীতে রাতের আঁধারে কৃষি জমির মাটি চুরি, থানায় অভিযোগ করেও সমাধান পাচ্ছেন না জমির মালিকরা নিজস্ব প্রতিনিধি: নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের চুলা,রাজবল্লবকান্দী এলাকার ফসলি জমির মাটি রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগকারী জমির মালিকরা হলেন, চুলা রাজবল্লবকান্দী গ্রামের  মৃত আক্তারুজ্জামানের ছেলে আদিব উজ জামান, আবুল বাতেনের ছেলে ফয়সাল ইসলাম ও আক্তারুজ্জামানের ছেলে নাদিরুজ্জামান ছাহাদ।অভিযুক্তরা হলেন, আওয়ামী লীগের দোসর গোতাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ৯নং ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য মূলহুতা মাসুদ মেম্বার ,আবদুল হাই এর ছেলে  অপু মিয়া, আবদুল কাদিরের ছেলে মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ইমন আলম ও মৃত আব্বাস আলীর ছেলে ইকবাল সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন। তারা সবাই মাটি ব্যবসায়ী। এঘটনায় মনোহরদী থানায় অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পেয়ে কোর্টে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। পরিবেশ আইন অমান্য করে কয়েক মাস ধরে মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে কৃষি জমির উর্বর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি খেকোরা। এতে যেমন জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। সন্ধ্যা হতেই চলাচল শুরু করে মাটি ভর্তি লড়ি ও ড্রাম ট্রাক। চলে রাতভর। মাটিবাহী ট্রাকের প্রভাব পড়ছে সড়কগুলোতেও। স্থানীয়ভাবে মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে তারা। ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরাচারের দোসর ইউপি সদস্য মাসুদ মেম্বার, অপু মিয়া, ইমন আলম ও ইকবাল তারা এলাকার দখলবাজ, দাঙ্গাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা জোরপূর্বক এলাকার কৃষকের জমিতে হইতে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে। এ নিয়া কেউ প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগন এলাকাবাসীকে প্রকাশ্য প্রাননাশসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। গত ২ জানুয়ারি রাতের আঁধারে বিবাদীগন আমাদের জমি হইতে বেকু দিয়ে প্রায় ৩ ফুট গভীর করিয়া মাটি কেটে নিয়া যায়। সংবাদ পাইয়া আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন বাড়িতে গিয়ে বিবাদীদের এহেন কর্মকান্ড দেখিয়া বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানাইয়া থানায় অভিযোগ করি। থানায় অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পেয়ে কোর্টে মামলা করেছি। অভিযুক্ত মাসুদ মেম্বারের মুঠোফোনে বার বার ফোন করে বন্ধ পাওয়ায়  বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। গোতাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বরকত বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই। মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল জব্বার মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ জমা হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।