ভাল নেই বাবুর হাটের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা

0


 




{ সুতার বাজারে সিন্ডিকেড, বিদ্যুতের লোড সেডিং, চোরাই পথে ভারতীয় কাপরের আমদানী ,রাজনৈতি অস্থিতিশীলতা }

একে ফজলুল হক মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ ক্রমাগত  ব্যবসায়ীক মন্দার কারনে ভাল নেই মাধবদী ও শেখেরচর বাবুর হাটের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। বাবুরহাট ঘুরে দেখাযায় বেচাবিক্রী নেই বললেই চলে।  একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায় দেশের রাজিৈতক  অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত সাধারন ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক কাটবেনা। তাছাড়া কাপরের  উৎপাদন কম হওয়ায় কপড়ের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছ। সব মিলিয়ে ভাল নেই বাবুর হাটের বস্ত্র ব্যবসায়ী। দেশের বৃহত্তর এ হাট উপনিবেশিক আমলে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের ৬৪ জেলো থেকে ক্রেতা সাধরনেরে আগমন ঘঠে এ্ হাটে। বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত কাপড় আমদানী হয় বাবুর হাটে। শাড়ি, লুঙ্গী , গামছা, তোয়লী, ভয়েল, পপলি, সাটিং,সুটিং, কাতান,জর্জট, বেডসিট, পর্দা থ্রী-পিছ , মসারী ,সালু-মারখিন বলতে গেলে সবধরনের কাপড় আমদানী হয় বাবুর হাটে। ব্যবসার এ মন্দার কারন জানতে গিয়ে কথা হয় নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজ এর প্রেসিডেন্ট আব্দুল মোমেন মোল্লার ষাথে। তিনি জানান বৈসম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজিৈতক অস্থিরতার কারনে ব্যবসার এ মন্দাভাব। অপর দিকে পাইকারী কাপড় বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। আদুরী কালেসনের সত্বাধিকারী জহিরুল হক বলেন, রাজিৈতক  অস্থিরতা ছাড়া ও চোরাই পথে ভারতীয় কাপড় বিশেষ করে শাড়ী, থ্রী-পিচ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের কারনে দেশীয় কাপড়ের চাহিদা কমে যাচ্ছে। এছারা গার্মেন্টস্ মালিকগন গার্মেন্টসে নামে আমদানী করা বিদেশী কাপড় দেশের বাজারে বিক্রীর প্রভাব দেশের তৈরী কাপড়ের উপর পরছে। বিদ্যুতের লোডসেডিং লেগেই থাকে। নুহা টেস্কটাইলের মালিক মাওলা জানান ক্রমাগত সুতার মূল্য বৃদ্ধির ফলে কাপড়ের দামও বাড়ছে। একদিকে মোকামে বেচা-বিক্রী কম, অপর দিকে পাইকারী বাজারে মূল বৃদ্ধি। নকিব টেক্সটাইলের মালিক রাসেল মিয়া জানান সুতার বাজারে সিন্ডিকেট ও রাজিৈতক অস্থিরতা কাপড়ের বাজারের মন্দাভাব কাটছেনা । সবচেয়ে খারাপ অবস্তায় রয়েছনে  সালু-মারখিন  ও শীতের কাপড় বিক্রেতাগন। সালু-মারখীন ও চাদর বিক্রী হয় অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে। তারা  কমপক্ষে ৬ মাস পূর্ব থেকে কাপড় উৎপাদন করে বিক্রীর জন্য মজুদ করে । এ সময় বিক্রী করতে নাপারলে পুরো এক বছর উৎপাদিত কাপড় অবিক্রীত অবস্থায় থাকে। সালু-মারখিন  বিক্রেতা মোঃ জাকির হোসেন জানান এবছর অন্যান বছরের তুলনায় ৩০ ভাগ কাপড় বিক্রী হয়েছে। অবিক্রীত কাপড় এবছর বিক্রীর  সম্ভবনা খুব কম। মাদবদী বাজারের সুতা ব্যবসায়ী ইয়ার্ন ট্রেডার্স, আনন্দ টেডার্স এর ম্যানেজারে সাথে আলাপ করলে নাম প্রকাশ না করার শর্থে বলেন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারনে সুতার বাজারে অ¯িরাজ করছে।









একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)